সাপাহারে দুই মেধাবী শিক্ষার্থী নিখোঁজের পাঁচ দিনেও সন্ধান মিলেনি
সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে স্কুল পড়–য়া দুই মেধাবী শিক্ষার্থী নিখোঁজের পাঁচ দিনেও কোন সন্ধান মিলেনি। গত শুক্রবার সকাল থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়েছে তারা। ওই দিন সকালে অনুপম প্রাইভেট শিক্ষকের নিকট ও দূর্জয় নওগাঁ বালুডাঙ্গা খালার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হওয়ার পর থেকেই তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় সাপাহার থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। নিখোঁজ আহসানুল আলম অনুপম (১৫) সাপাহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদুল আলমের ছেলে এবং নাইমুর রহমান দূর্জয় (১৫) মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জালাল উদ্দীনের ছেলে। দু’জনেই নওগাঁ জেলার সাপাহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ও পরস্পর ঘনিষ্ট বন্ধু এবং তারা পরিবারের সাথে সাপাহার উপজেলা সদরের প্রফেসর পাড়ায় বসবাস করত।
জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৬টায় অনুপম প্রাইভেট শিক্ষকের নিকট পড়ার জন্যে বের হয়। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত আর অনুপম ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন তাকে অনেক খোঁজাখুজি করে তার সন্ধান পাননি। তার খোঁজ নিতে বার বার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে জানা যায়, সে তার বন্ধু দূর্জয়ের সাথে নওগাঁয় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছে। কিন্তু সেখানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তারা সেখানে যায়নি। এরপর অনেক খোঁজাখুজি করে তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।অনুপম ও দূর্জয়ের একাধীক সহপাঠি জানায়, তারা দু’জনেই মেধাবী ছাত্র এবং দু’জন সব সময় এক সাথে চলাফেরা এবং নিয়মিত নামাজ রোজা সহ ইসলাম ধর্মের সকল কর্মকান্ড পালন করতেন।
দুর্জয়ের বাবা জালাল উদ্দিন জানান, সে খুব ভদ্র এবং ন¤্র স্বভাবের সব সময় নামাজ ও কোরআন পাঠ করত। সে তার সমস্ত জামাকাপড় নিয়ে চলে যাওয়াতে মনে করছি সে আর ফিরে আসবে না। তার মা মারা যাবার পর থেকে তেমন কারো সাথে মেশত না; একা একা থাকত। হঠাৎ করে সে কেন নিরুদ্দেশ হওয়ায় বিষয়টি স্পষ্ট নয় কারো কাছে।অনুপমের চাচাতো ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দু’জনেই খুব ভদ্র এবং ন¤্র স্বভাবের। তারা যেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সাপাহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অনুপমের বাবা সাজেদুল ইসলাম জানান, অনুপম গত দুই মাস থেকে ইসলাম ধর্মের বিষয়ে বেশি আশক্ত হয়ে পারে। পরিবারের অজান্তে এ সময়ের মধ্যে বেশি কিছু ইসলাম সম্পর্কিত বই কিনে পড়াশুনা করে। ঘটনাটি তখনও বুঝতে পারিনি। তারা নিখোঁজ হওয়ারপর তার ঘরে ইসলাম সম্পর্কিত যেমন, ‘ইসলামী সংস্কৃতিক মর্মকথা’, ‘দ্বীন দুনিয়া ও আখেরাতের একমাত্র সম্বল “নেক আমল”, সহ বেশ কিছু বই পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় জিডি দায়ের করা হলেও সোমবার পর্যন্ত পুলিশ তাদের উদ্ধার করতে পারেনি। এতে তারা মানষিকভাবে ভেঙ্গে পরেছেন।সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুল আলম শাহ জানান, অনুপম ও দূর্জয়ের নিখোঁজের ঘটনায় থানায় পৃথক দু’টি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। তাদের উদ্ধারে একাধিক টিম কাজ করছে বলে দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৬টায় অনুপম প্রাইভেট শিক্ষকের নিকট পড়ার জন্যে বের হয়। এরপর সন্ধ্যা পর্যন্ত আর অনুপম ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন তাকে অনেক খোঁজাখুজি করে তার সন্ধান পাননি। তার খোঁজ নিতে বার বার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে জানা যায়, সে তার বন্ধু দূর্জয়ের সাথে নওগাঁয় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছে। কিন্তু সেখানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তারা সেখানে যায়নি। এরপর অনেক খোঁজাখুজি করে তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।অনুপম ও দূর্জয়ের একাধীক সহপাঠি জানায়, তারা দু’জনেই মেধাবী ছাত্র এবং দু’জন সব সময় এক সাথে চলাফেরা এবং নিয়মিত নামাজ রোজা সহ ইসলাম ধর্মের সকল কর্মকান্ড পালন করতেন।
দুর্জয়ের বাবা জালাল উদ্দিন জানান, সে খুব ভদ্র এবং ন¤্র স্বভাবের সব সময় নামাজ ও কোরআন পাঠ করত। সে তার সমস্ত জামাকাপড় নিয়ে চলে যাওয়াতে মনে করছি সে আর ফিরে আসবে না। তার মা মারা যাবার পর থেকে তেমন কারো সাথে মেশত না; একা একা থাকত। হঠাৎ করে সে কেন নিরুদ্দেশ হওয়ায় বিষয়টি স্পষ্ট নয় কারো কাছে।অনুপমের চাচাতো ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দু’জনেই খুব ভদ্র এবং ন¤্র স্বভাবের। তারা যেন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সাথে যুক্ত না হয় সে বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সাপাহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অনুপমের বাবা সাজেদুল ইসলাম জানান, অনুপম গত দুই মাস থেকে ইসলাম ধর্মের বিষয়ে বেশি আশক্ত হয়ে পারে। পরিবারের অজান্তে এ সময়ের মধ্যে বেশি কিছু ইসলাম সম্পর্কিত বই কিনে পড়াশুনা করে। ঘটনাটি তখনও বুঝতে পারিনি। তারা নিখোঁজ হওয়ারপর তার ঘরে ইসলাম সম্পর্কিত যেমন, ‘ইসলামী সংস্কৃতিক মর্মকথা’, ‘দ্বীন দুনিয়া ও আখেরাতের একমাত্র সম্বল “নেক আমল”, সহ বেশ কিছু বই পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় জিডি দায়ের করা হলেও সোমবার পর্যন্ত পুলিশ তাদের উদ্ধার করতে পারেনি। এতে তারা মানষিকভাবে ভেঙ্গে পরেছেন।সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুল আলম শাহ জানান, অনুপম ও দূর্জয়ের নিখোঁজের ঘটনায় থানায় পৃথক দু’টি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। তাদের উদ্ধারে একাধিক টিম কাজ করছে বলে দাবি করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
Post a Comment