নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় কলেজ ছাত্রীকে কামড়ে জখম, বখাটেকে গণপিটুনি

অমর ডি কস্তা, নাটোর প্রতিনিধি: প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজে ঢুকে এক ছাত্রীীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে গালে, হাতে ও গলায় কামড়ে জখম করেছে এক বখাটে যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কলেজ ছাত্রীকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় বখাটে যুবক সাগর আহম্মেদ (১৮) কে এলাকাবাসী গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এদিকে বখাটের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। বখাটে সাগর আহমেদ খুবজিপুর মোজাম্মেল হক ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রবিউল করিম ছেলে। সে রাজশাহী কলেজের অর্নাস প্রথম বর্ষের ছাত্র।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার খুবজিপুর মোজাম্মেল হক ডিগ্রি কলেজের এইচএসসির প্রথম বর্ষের ছাত্রী কে মাঝে মধ্যে উত্যাক্ত এবং প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল বখাটে সাগর। কিন্তু মেয়েটি প্রত্যাক্ষান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই কলেজে প্রবেশ করে বখাটে সাগর। এসময় কলেজ শিক্ষার্থীর কমন রুমে বখাটে সাগর প্রবেশ করে ঝাপটে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এসময় বখাটে সাগর কলেজ ছাত্রীর গলায় এবং হাতে কামড় দেয়। পরে কলেজ ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা এবং কলেজের শিক্ষার্থীরা এসে বখাটে সাগরকে ধরে গণপিটুনি দেয়। এসময় খবর পেয়ে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, কলেজে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এসময় ক্লাশ বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। পরে বখাটে সাগরের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির আশ্বাস দিলে ক্লাশে ফিরে যায় তারা।  অধ্যক্ষ মো. রসুল উদ্দিন মৃধা বলেন,বিষয়টা আমার নলেজে আশার সাথে সাথে কলেজের কয়েকজন এম.এল.এস.এস ও কয়েকজন ছাত্র দিয়ে বখাটেকে আটকে রেখে গুরুদাসপুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।এবিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দাস বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বখাটে যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।