গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে স্বামী বদল করে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিচ্ছেন একযুগ ধরে
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : স্বামীর নাম বদলের ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে এক যুগের বেশী সময় ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা গ্রহনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার অঞ্জনা রানী বিশ্বাস রাধা নামের এক প্রতারক মহিলার বিরুদ্ধে।
ব্যাপক অনুসন্ধানে জানা গেছে, কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের টিয়ারডাঙ্গা গ্রামের প্রিয়নাথ বিশ্বাসের ছেলে হরে কেষ্ট বিশ্বাস ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আর্থিক অভাব অনটনের কারণে স্ত্রী পাঁচি বিশ্বাস ও এক মাত্র ছেলে স্বপন বিশ্বাস, ভাই কালীপদ বিশ্বাস, গোপীনাথ বিশ্বাসকে নিয়ে ভারতে চলে যান। ভারতের নদীয়া জেলার রানাঘাট থানার নিচ সিংহপুর গ্রামে বসতি স্থাপন করেন তিনি। সেখানে গিয়ে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা ঘোড়ার গাড়ী চালিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন।
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা চালু হবার খবর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা হরে কেষ্ট বিশ্বাস কিছু দিন পরই বাংলাদেশে আসেন এবং তৎকালীন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ খবির উদ্দিন মোল্লা খোকার বাড়িতে উঠেন। উপজেলা কমান্ডার ভাতা দেবেন এই আশ্বাস দিয়ে বিনা বেতনে বেশ কিছু দিন তাকে নিজের বাড়িতে কাজের লোক হিসাবে কাজ করান। এক পর্যায়ে ভাতা না হওয়ার কারণে স্ত্রী ও পুত্রের টানে তিনি আবারও ভারতে ফিরে যান। কয়েক মাসের মধ্যেই সেখানে তার মৃত্যু হয় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এ সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে পার্শ্ববতী পদ্মবিলা গ্রামের সুচতুর অঞ্জনা রানী বিশ্বাস রাধা মুক্তিযোদ্ধা হরে কেষ্ট বিশ্বাস এর স্ত্রী সেজে ভূয়া কাগজ পত্র তৈরী করে ২০০৪ সালের জুন মাস থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ভোগী হয়ে যায়।অঞ্জলী রানী বিশ্বাস রাধার প্রতিবেশীরা জানান, তার (অঞ্জলী রানী রাধার) স্বামীর নামও হরে কেষ্ট বিশ্বাস। একটি ছেলের জন্ম হলে সে স্ত্রী রাধার সাথে ঝগড়াঝাটি করে ভারতে চলে যায় এবং দ্বিতীয় বিয়ে করে। সে বর্তমানে ভারতের পেপরুমন্ড ঘাট নামক স্থানে বসবাস করছে।
এ ব্যাপারে ওই এলাকার জনৈক তাহাজ্জাত হোসেনসহ এলাকাবাসী কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি অভিযোগ করেন। উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ ওয়াহিদুজ্জামানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।মুক্তিযোদ্ধা হরে কেষ্ট বিশ্বাস এর চাচাত ভাই নির্মল বিশ্বাস জানান, অঞ্জলী রানী বিশ্বাস রাধার স্বামীর নাম একই হওয়ার সুযোগে আমার ভাইয়ের স্ত্রী সেজে ভাতা করে ভোগ করছে দীর্ঘ বছর। সে আমার ভাইয়ের স্ত্রী ছিলো না, সে প্রতারনা করে ভাতার টাকা আত্মসাৎ করছে।কাশিয়ানীর বর্তমান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ এনায়েত হোসেন জানান, ওই মহিলার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য বলেই আমার বিশ্বাস।ওই মহিলার ভাতা বন্ধ করে দিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।এ ব্যাপারে তদন্তকারি কর্মকর্তা উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার জানান, অভিযুক্ত অঞ্জনা রানী বিশ্বাস আমার সামনেই আসে নাই, আমি অনেক চেষ্টা করেও তার সাথে দেখা করতে পারি নাই। তবে প্রতিবেশীরা জানায়, সে বাড়িতেই আছে, কেউ এলে পালিয়ে থাকে। তিনি আশপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছেন যে, অভিযুক্ত অঞ্জনা রানী প্রতারনার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে তিনি দ্রুত তার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানান।
ব্যাপক অনুসন্ধানে জানা গেছে, কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের টিয়ারডাঙ্গা গ্রামের প্রিয়নাথ বিশ্বাসের ছেলে হরে কেষ্ট বিশ্বাস ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আর্থিক অভাব অনটনের কারণে স্ত্রী পাঁচি বিশ্বাস ও এক মাত্র ছেলে স্বপন বিশ্বাস, ভাই কালীপদ বিশ্বাস, গোপীনাথ বিশ্বাসকে নিয়ে ভারতে চলে যান। ভারতের নদীয়া জেলার রানাঘাট থানার নিচ সিংহপুর গ্রামে বসতি স্থাপন করেন তিনি। সেখানে গিয়ে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা ঘোড়ার গাড়ী চালিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন।
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা চালু হবার খবর পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা হরে কেষ্ট বিশ্বাস কিছু দিন পরই বাংলাদেশে আসেন এবং তৎকালীন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ খবির উদ্দিন মোল্লা খোকার বাড়িতে উঠেন। উপজেলা কমান্ডার ভাতা দেবেন এই আশ্বাস দিয়ে বিনা বেতনে বেশ কিছু দিন তাকে নিজের বাড়িতে কাজের লোক হিসাবে কাজ করান। এক পর্যায়ে ভাতা না হওয়ার কারণে স্ত্রী ও পুত্রের টানে তিনি আবারও ভারতে ফিরে যান। কয়েক মাসের মধ্যেই সেখানে তার মৃত্যু হয় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এ সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে পার্শ্ববতী পদ্মবিলা গ্রামের সুচতুর অঞ্জনা রানী বিশ্বাস রাধা মুক্তিযোদ্ধা হরে কেষ্ট বিশ্বাস এর স্ত্রী সেজে ভূয়া কাগজ পত্র তৈরী করে ২০০৪ সালের জুন মাস থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ভোগী হয়ে যায়।অঞ্জলী রানী বিশ্বাস রাধার প্রতিবেশীরা জানান, তার (অঞ্জলী রানী রাধার) স্বামীর নামও হরে কেষ্ট বিশ্বাস। একটি ছেলের জন্ম হলে সে স্ত্রী রাধার সাথে ঝগড়াঝাটি করে ভারতে চলে যায় এবং দ্বিতীয় বিয়ে করে। সে বর্তমানে ভারতের পেপরুমন্ড ঘাট নামক স্থানে বসবাস করছে।
এ ব্যাপারে ওই এলাকার জনৈক তাহাজ্জাত হোসেনসহ এলাকাবাসী কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি অভিযোগ করেন। উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ ওয়াহিদুজ্জামানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।মুক্তিযোদ্ধা হরে কেষ্ট বিশ্বাস এর চাচাত ভাই নির্মল বিশ্বাস জানান, অঞ্জলী রানী বিশ্বাস রাধার স্বামীর নাম একই হওয়ার সুযোগে আমার ভাইয়ের স্ত্রী সেজে ভাতা করে ভোগ করছে দীর্ঘ বছর। সে আমার ভাইয়ের স্ত্রী ছিলো না, সে প্রতারনা করে ভাতার টাকা আত্মসাৎ করছে।কাশিয়ানীর বর্তমান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ এনায়েত হোসেন জানান, ওই মহিলার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য বলেই আমার বিশ্বাস।ওই মহিলার ভাতা বন্ধ করে দিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।এ ব্যাপারে তদন্তকারি কর্মকর্তা উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার জানান, অভিযুক্ত অঞ্জনা রানী বিশ্বাস আমার সামনেই আসে নাই, আমি অনেক চেষ্টা করেও তার সাথে দেখা করতে পারি নাই। তবে প্রতিবেশীরা জানায়, সে বাড়িতেই আছে, কেউ এলে পালিয়ে থাকে। তিনি আশপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছেন যে, অভিযুক্ত অঞ্জনা রানী প্রতারনার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে তিনি দ্রুত তার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানান।
Post a Comment